অনলাইন রিপোর্ট:
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন, যারা কোনোদিন তেল হাত দিয়ে স্পর্শ করেননি অথচ ড্রইংরুমে বসে বিনা পয়সা কামাচ্ছেন, সেইসব মধ্যস্বত্তভোগী ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য কমাতে কঠোর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আমদানি নির্ভর হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে দাম নির্ধারণ করে দেয়া সম্ভব নয়। আশ্বাস দেন, আমদানির ক্ষেত্রে থাকা একাধিক শুল্কস্তর কমিয়ে আনার। আসছে রমজান সামনে রেখে টিসিবির মাধ্যমে অন্য বছরের চেয়ে ৩ গুন বেশি পণ্য আমদানি করা হবে বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশীয় বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ভোজ্য তেলের বাজার। যার প্রধান কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি। বিভিন্ন উৎসের তথ্য উপাত্ত বলছে, বর্তমানে প্রতি টন সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে এগারশ মার্কিন ডলারে। যা মাস দেড়েকের ব্যবধানে বেড়েছে ৩০ শতাংশের ওপরে। একই প্রবণতা ছিল পাম তেলের দরেও।
দেশীয় বাজারেও দাম বাড়ার হার ছিল প্রায় একই। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যের লাগাম টানার উপায় খুঁজতে ব্যবসায়ীদের সাথে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দেশের বর্তমানে ২৪ লাখ টনের মতো চাহিদা আছে তেলের। যার ৯৫ শতাংশই আনতে হয় বিদেশ থেকে। আমদানির এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আবার শুল্ক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে চার ধাপে। যে কারণে বাড়তি সময়সহ খরচের ধাক্কাও নিতে হয় কম-বেশি। অনুষ্ঠানে সেটি সমাধানের আশ্বাস দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণের মতো ভোজ্য তেলের চাহিদা বাড়ে রমজানে। তালিকায় থাকে আরো কয়েকটি নিত্যপণ্য। তাই, সেগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও সামনে আনেন মন্ত্রী।